গেল জুন পর্যন্ত ২৬০ কোটি
ধারণার চেয়ে দ্রুত বাড়ছে ফাইভ-জি গ্রাহক
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১২:২০, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৮, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
 
							বিশ্বে ফাইভ-জি গ্রাহক বাড়ছে ধারণার চেয়ে দ্রুত
৩৭ শতাংশ হারে বাড়ছে
চলতি বছরের এপ্রিল-মে-জুন এই তিন মাসে বিশ্বজুড়ে ফাইভ-জি সংযোগ ২৬০ কোটি ছাড়িয়েছে। আগের বছরের চেয়ে এই হার ৩৭ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ গেল বছর একই সময়ে, যেখানে ১০০টি সংযোগ দেয়া হয়েছে, এ বছর সংযোগ গেছে ১৩৭টি। এই তথ্য উঠে এসেছে টেলিকম সংস্থা ফাইভজি আমেরিকাস এবং বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওমডিয়ার একটি প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪৫ গিগাবিট পার সেকেন্ড ইন্টারনেট স্পিড
৯শ কোটিতে পৌঁছাবে
সংস্থাগুলো পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা প্রায় ৯০০ কোটিতে পৌঁছাবে। ফাইভজি আমেরিকাস ও ওমডিয়ার তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সংযোগ নেয়ার গতি ফোরজির তুলনায় চার গুণ বেশি। এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ফাইভজি এখন শুধু মোবাইল বা ইন্টারনেট সংযোগের জন্য নয়, বরং আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংসসহ) পণ্য আর স্বাস্থ্যসেবা খাতেও ব্যবহার হচ্ছে। একে ডিজিটাল রূপান্তরের মূল প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রবিতে মিলবে হাই-স্পিড ও লো-লেটেন্সি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা
এরিকসনের একটি মবিলিটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের শেষে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সংযোগের সংখ্যা ১৭৬ কোটি ছাড়ায়। এরিকসনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর বিশ্বের ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে। একই সঙ্গে মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ৬০ শতাংশই যুক্ত থাকবে ফাইভজি নেটওয়ার্কে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোরজির তুলনায় সর্বশেষ প্রজন্মের এ নেটওয়ার্ক দ্রুতগতির ডাউনলোড স্পিড, বেশি ডাটার আদান-প্রদান ও কম ল্যাটেন্সির মতো নানা সুবিধা দিচ্ছে। ফলে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী মাসিক মোবাইল ডাটার ব্যবহার ৩০০ এক্সাবাইট (১০ লাখ টেরাবাইটে ১ এক্সাবাইট) ছাড়িয়ে যাবে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
আগ্রহ বাড়াতে পারে: ভিনদেশি ভাষা না বোঝার দিন শেষ
ডেটা ব্যবহারও বাড়ছে দ্রুত
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) বিশ্বব্যাপী ডেটা ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩৮ কোটি টেরাবাইট ছাড়িয়েছে। মূলত ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং ও শিল্পক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের কারণে ডেটার ব্যবহার বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। একই সময় আইওটি সংযোগের সংখ্যা বেড়ে ৩৮০ কোটি হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসব ডিভাইস ৫০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সূত্র: আরসিআর ওয়্যারলেস

 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
					 
					 
					