রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

| ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

১২ ও ১৩ আগস্ট রাতে চোখ রাখুন আকাশে

প্রতিবছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখা যাবে। এসব উল্কা ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি বৃহত্তর কণা থেকে তৈরি হয়েছে।

প্রকাশ: ১২:৩২, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৯, ১০ আগস্ট ২০২৫

প্রতিবছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখা যাবে। এসব উল্কা ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি বৃহত্তর কণা থেকে তৈরি হয়েছে।

আগামী মঙ্গল ও বুধবার, অর্থাৎ ১২ এবং ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। পার্সেইড নামের এই উল্কাবৃষ্টি প্রতিবছর একই সময়ে হয়। এ বছর ১৩ আগস্ট ভোররাতে এই উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের যেকোনো জায়গা থেকে পার্সেইড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।

গত বছর এই সময় উল্কাবৃষ্টি ঘটার সময় দৃশ্যমান চাঁদ ছিল না। তবে এ বছর উল্কাবৃষ্টির সময় চাঁদের আলো থাকবে। এর ফলে উল্কাবৃষ্টি দেখার সময় কিছুটা বাধা তৈরি হবে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পার্সিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলের পার্সি নক্ষত্র থেকে আসবে উল্কাগুলো। চাঁদের আলো থাকলেও পার্সেইড উল্কা পুরো আকাশে দারুণ এক দৃশ্য তৈরি করবে।

প্রতিবছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখা যাবে। এসব উল্কা ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি বৃহত্তর কণা থেকে তৈরি হয়েছে।

পার্সেইড উল্কাবৃষ্টির উৎস হলো সুইফট-টাটল ধূমকেতু। এই ধূমকেতু যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর পিঠ থেকে বরফ ও ধূলিকণা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবী যখন তার কক্ষপথে এই ধূলিকণার স্তরের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই সব কণা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে জ্বলে ওঠে। এই জ্বলন্ত কণাই হচ্ছে উল্কা বা শুটিং স্টার।

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন