বিপুল বিনিয়োগ করছে মাইক্রোসফট
২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে চোখ দিয়ে কম কাজ করবে। বেশি কাজ করবে কথা বলে। ব্যবহারকারী ও যন্ত্রের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমেই যোগাযোগ তৈরি হবে।
প্রকাশ: ১২:০৪, ৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৭, ১০ আগস্ট ২০২৫

এখন থেকে বছর চল্লিশ আগেও ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম পরিচিত ছিলো। বর্তমান প্রজন্ম, মাইক্রোসফটের সেই অপারেটিং সিস্টেম শুধু কল্পনাই করতে পারবে। ৩ দশকের ব্যবধানে এই পরিবর্তন, তাহলে সামনের ২০ বছরে কি বদলাতে যাচ্ছে?
এ বিষয়ে সম্প্রতি ইউটিউবে, ‘মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ২০৩০ ভিশন’ শীর্ষক ভিডিও প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে, আগামী পাঁচ বছরে উইন্ডোজ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কীভাবে বদলে যাবে, সে ধারণা তুলে ধরা হয়। মাইক্রোসফট জানাচ্ছে, কি–বোর্ড বা মাউস নয়, ভবিষ্যতে কণ্ঠস্বর, হাত বা চোখের ইশারায় চালানো যাবে উইন্ডোজ কম্পিউটার।
ভিডিওতে মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ ও অপারেটিং সিস্টেম সুরক্ষা বিভাগের করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়েস্টন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে চোখ দিয়ে কম কাজ করবে। বেশি কাজ করবে কথা বলে। ব্যবহারকারী ও যন্ত্রের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমেই যোগাযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যতের উইন্ডোজ হবে বহুমাত্রিক, যার সঙ্গে ব্যবহারকারী কণ্ঠস্বর, হাতের ইশারা বা চোখের দৃষ্টিতে কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই ভবিষ্যৎ চিত্র অনেকের কাছেই এখন কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হতে পারে, তবে প্রযুক্তি খাতে মাইক্রোসফটের চলমান বিনিয়োগ এই ধারণাকে বাস্তবের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফট তার বিভিন্ন পণ্যে এআই ফিচার ‘কোপাইলট’ যুক্ত করেছে। এটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে উইন্ডোজ ও অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজ সহজ করে দিচ্ছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হে কোপাইলট’ ফিচারের মাধ্যমে কণ্ঠস্বরে নির্দেশ দিয়েই ব্যবহারকারী উইন্ডোজের বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন কিংবা ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে নিতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নতির কারণে কম্পিউটার ও ল্যাপটপের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে ওয়েস্টন জানান, এআই প্রযুক্তি রুটিন ধরনের কাজ যেমন হিসাব তৈরি, স্প্রেডশিট বানানো এসবের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। এতে ব্যবহারকারীরা সময় বাঁচাতে পারবেন এবং বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন সৃজনশীল কাজে।