সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১৬ ভাদ্র ১৪৩২

ডেভেলপারের উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম

সফটওয়্যার ডেভেলপারকে সহায়তায় গুগলের নতুন এআই এজেন্ট জুলস

প্রকাশ: ০০:৩১, ১১ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪৩, ১১ আগস্ট ২০২৫

সফটওয়্যার ডেভেলপারকে সহায়তায় গুগলের নতুন এআই এজেন্ট জুলস

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৮২ ভাগ ডেভেলপার নিয়মিত চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছেন। ৪৪ শতাংশ ডেভেলপার ব্যবহার করছেন কোপাইলট এবং ২২ শতাংশ ব্যবহার করছেন জেমিনি।

তবে এআই এখন কেবল কোড কি লেখা যায় সে পর্যায়ে নেই। এর পরিধি বাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে এআই এজেন্ট। যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার উন্নয়নের নানা ধাপ সম্পন্ন করতে পারে। নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, কোডের ত্রুটি শনাক্ত ও সমাধান, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন প্রস্তুত, এমনকি সিআই/সিডি প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়করণসহ প্রায় প্রতিটি ধাপেই এখন এআই এজেন্ট, ডেভেলপারদের সহায়তা দিচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় গুগল নিয়ে এসেছে একটি এআই কোডিং সহকারী জুলস। এজেন্টটি কোড বুঝে, ডেভেলপারের উদ্দেশ্য অনুধাবন করে, সে অনুযায়ী কাজ করে।

জুলস গুগলের জেমিনি ২.৫ প্রো মডেল দিয়ে পরিচালিত হয়। গিটহাব সংযুক্ত গুগল ক্লাউড ভার্চ্যুয়াল মেশিনে ডেভেলপাররা একে নির্দিষ্ট কাজ দিতে পারেন। রিপোজিটরি যুক্ত করার পর জুলস সেটি নিরাপদ ক্লাউড পরিবেশে ক্লোন করে, পুরো প্রকল্পের কাঠামো বিশ্লেষণ করে, বাগ শনাক্ত ও সমাধান করে, ইউনিট টেস্ট তৈরি করে, প্রয়োজনীয় ফিচার যোগ করে এবং সব কাজ সম্পন্ন করে অ্যাসিঙ্ক্রোনাস পদ্ধতিতে। অর্থাৎ ডেভেলপার অন্য কাজে মন দিলেও জুলস নিজে থেকে কাজ শেষ করে রিভিউয়ের জন্য প্রস্তুত পুল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয়। কোড সাজেস্ট করা ছাড়াও জুলস কাজের পরিকল্পনা তৈরি করে, কোড সম্পাদনা করে, প্রতিটি পরিবর্তনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে এবং কি কি পরিবর্তন করা হলো সেটার অডিও  রেকর্ড সরবরাহ করে।

ফ্রন্টএন্ড ইউআই, ব্যাকএন্ড এপিআই, এআই মডেল কিংবা এন্ড-টু-এন্ড সিস্টেম সব ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। জুলস একই ধরনের কোড বারবার লেখার প্রয়োজন দূর করতে পারে, ইউনিট টেস্ট লিখে দিতে পারে এবং আধুনিক ডিপেনডেন্সি আপডেটের পরামর্শ দিতে পারে।

 

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন