সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১৬ ভাদ্র ১৪৩২

তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা

এআই চ্যাটবটকে যে ৯টি তথ্য কখনোই দেবেন না

প্রকাশ: ১০:১৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এআই চ্যাটবটকে যে ৯টি তথ্য কখনোই দেবেন না

অনেকের প্রাত্যহিক জীবনেই জায়গা করে নিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট। মানুষের মতো উত্তর দিতে পারার কারণে অনেকেই এসব চ্যাটবটের ওপর অনেক নির্ভর করেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্বস্তি অনেক সময় ক্ষতির কারণও হতে পারে। চ্যাটবটের সঙ্গে অতিরিক্ত বা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করলে গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই সতর্কতার বিকল্প নেই।

গোপন তথ্য বা স্বীকারোক্তি

অনেকে মানসিক চাপ কমাতে চ্যাটবটে ব্যক্তিগত কথা বলেন। কিন্তু এটি বন্ধু বা কাউন্সেলর নয়। ব্যক্তিগত গোপন তথ্য লগ হয়ে থেকে যেতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রকাশ পেতে পারে।

পাসওয়ার্ড

চ্যাটবটের সঙ্গে কোনো পাসওয়ার্ড শেয়ার করা একেবারেই অনিরাপদ। একবার ফাঁস হলে ই–মেইল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইল হ্যাকড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা পাসওয়ার্ড কেবল নির্ভরযোগ্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে রাখার পরামর্শ দেন।

আর্থিক তথ্য

ব্যাংক হিসাব নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র বা সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর সাইবার অপরাধীদের প্রধান লক্ষ্য। চ্যাটবটে এসব দিলে তা সংরক্ষিত থেকে হ্যাকড হতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী প্রতারণা বা আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন।

ব্যক্তিগত তথ্য

পূর্ণনাম, বাসার ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ই–মেইল আলাদা আলাদা মনে হলেও একত্র করলে সহজেই পরিচয় শনাক্ত করা যায়। এগুলো ফাঁস হলে প্রতারণা, ফিশিং বা শারীরিকভাবে অনুসরণের মতো ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য

চ্যাটবট চিকিৎসক নয়। তাই রোগের লক্ষণ, প্রেসক্রিপশন বা স্বাস্থ্যবিমার তথ্য শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। এতে ভুল পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

অফিসের গোপন নথি

কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কৌশল, গবেষণা বা গোপন নথি চ্যাটবটে কপি ও পেস্ট করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, অনেক চ্যাটবট ব্যবহারকারীর ইনপুট মডেল ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করে। এতে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

আইনি বিষয়

চুক্তি, মামলা বা ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে চ্যাটবটকে তথ্য দেওয়া উচিত নয়। এটি আইনজীবী নয়, ফলে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে পারে। আবার এসব তথ্য প্রকাশ হলে ব্যক্তির আইনি অবস্থানও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

সংবেদনশীল ছবি-নথি

জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ব্যক্তিগত ছবি কোনোভাবেই চ্যাটবটে আপলোড করা উচিত নয়। মুছে ফেললেও এসবের ডিজিটাল চিহ্ন থেকে যেতে পারে। পরে তা হ্যাক হয়ে পরিচয় চুরি বা প্রতারণার কাজে ব্যবহার হতে পারে।

এমন বিষয় যা প্রকাশ হোক চান না

সবচেয়ে বড় নিয়ম হলো, যে তথ্য আপনি প্রকাশ্যে দেখতে চান না, তা কখনোই চ্যাটবটে দেবেন না। সাধারণ কথোপকথনও অনেক সময় সিস্টেমে থেকে যায়, যা ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হতে পারে।

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন