ফিনটেক সম্মেলনে আলোচনা
ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ নেই উদ্যোক্তাদের, ডিজিটাল ব্যবস্থা সহজের তাগিদ
টেকস্ক্রল
প্রকাশ: ১১:৫০, ৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফিনটেক সম্মেলন
সমালোচনার মুখে পুরনো ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যবস্থা
শনিবার ৮ নভেম্বর, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট। এতে অংশ নেন বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ পদের কর্মকর্তারা। এছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্স সার্ভিসের কর্মকর্তারাও যোগ দেন এতে। প্যানেল আলোচনায়, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও করেন আলোচকরা।
আলোচকেরা জানান, কোনো কোনো পুরনো ব্যাংকের ডিজিটাল সেবা নিতে প্রায় ৯৯টি ক্লিকের প্রয়োজন হয়, অথচ অনেক ডিজিটাল ব্যাংকে ২৪ ক্লিকেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। অভিজ্ঞতা সহজ করার পাশাপাশি এসব ব্যাংক এমন অ্যাপ বানাচ্ছে যেখানে একসঙ্গে বহু ধরনের আর্থিক সেবা পাওয়া যায়। দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকগুলো পরীক্ষামূলক সেবা ও গ্রাহককেন্দ্রিক ফোকাস নিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে টপপে
উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করতে পারে ডিজিটাল সিস্টেম
আরেকটি বিষয় যথেষ্ট ভাবিয়ে তুলছে ব্যাংকারদের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এখন ডিজিটাল ব্যাংককে বেশি পছন্দ করছে বলে জানান তারা। বিপরীতে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ব্যাংকিং সেবা নিতেই আগ্রহী না, এখনো তাদের মাত্র ১৫ শতাংশ এসএমই ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছেন। এই ব্যবধান দূর করতে ডিজিটাল ব্যাংকিং মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করেন শীর্ষ ব্যাংকাররা।
অক্টোবরে নগদের লেনদেন প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিকাশ-নগদের মতো মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিসের ১০০ জন গ্রাহকের মধ্যে ৬০ জনই বাটন ফোন ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য আরও পণ্য উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে বলে মত তার। অন্য বক্তারা বলেন প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের খরচ ও জটিলতা কমিয়ে গ্রাহকসেবাকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করছে ডিজিটাল ব্যাংকিং সিস্টেম, এজন্য বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এটি। গত কয়েক বছরে এর গ্রাহক হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
