ওপেনএআইয়ের অল্টম্যানের মন্তব্য
এআইয়ের কারণে যেসব চাকরিক্ষেত্র খুব শিগগির বন্ধ হচ্ছে
প্রকাশ: ০১:২৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কর্মক্ষেত্রে খুব বড় পরিবর্তন আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এমনটাই মনে করেন ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান। এ পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা আসবে গ্রাহকসেবায়। মার্কিন টিভি প্রোগ্রাম দ্যা টুকার কার্লসন শোতে তিনি বলেন, বর্তমানে কম্পিউটার আর ফোনে গ্রাহকদের সেবা দেয়ার যে পদ্ধতি, তার বড় অংশই সম্পন্ন করবে এআই। এ খাতে বহু কর্মী এতে চাকরি হারাবেন।
অল্টম্যান মনে করেন, প্রোগ্রামাররাও এআইয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। উল্লেখ করেন, প্রতি ৭৫ বছরে চাকরি ধরনে পরিবর্তন ঘটে। তবে এবার সে পরিবর্তনটা ঘটবে খুবই দ্রুত। অনেকটা হঠাৎ ভারসাম্য বদলের মতো। তবে এ পরিবর্তন মানে মানুষের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নয়। অল্টম্যানের মতে, কলসেন্টারের মতো খাতের কাঠামোয় দ্রুত পরিবর্তন আসবে, যদিও আগের ধারণা ছিল, মানুষ একসময় পুরোপুরি প্রতিস্থাপিত হবেন। তবে অল্টম্যান মনে করেন, যেসব পেশায় আবেগ, সহমর্মিতা ও মানুষের প্রত্যক্ষ সংযোগ অপরিহার্য, সেসব জায়গায় মানুষকে সরানো সম্ভব নয়। নার্সিং তেমন একটি পেশা। তিনি বলেন, এআই বা রোবট যতই উন্নত হোক না কেন, রোগী বা দুর্বল অবস্থায় থাকা কেউ শেষ পর্যন্ত মানুষের কাছ থেকেই আশ্বাস চাইবেন।
২০২৪ সালে অবশ্য ওরাকলও ঘোষণা দিয়েছিলো যে তারা গ্রাহকসেবার সবকিছুই অটোমেটেড করতে চায়। একইভাবে সেলসফোর্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক বেনিওফ জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে চার হাজার গ্রাহকসেবা কর্মী কমানো হয়েছে। তবে এআইয়ের অগ্রগতি কতোটা হবে এ নিয়ে সংশয়ে থাকা লোকও কম নয়। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গার্টনারের পূর্বাভাস বলছে, অর্ধেক প্রতিষ্ঠান আবারও গ্রাহকসেবা খাতে কর্মী কমানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে।একই সাক্ষাৎকারে অল্টম্যান আরও বলেন, ওপেনএআই পরিচালনার নৈতিক ও সামাজিক দায় তাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে। প্রতিদিন শতকোটি মানুষ তাদের তৈরি চ্যাটবট ব্যবহার করছেন। এ বাস্তবতা তার জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করছে। অল্টম্যান বলেন, তিনি ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। বড় নৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি তেমন ভয় পাই না, যদিও সেখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আসল উদ্বেগ তৈরি করে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত, যেগুলো বাস্তব জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।’