অনলাইনে কেনাকাটা
ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর রিভিউ শনাক্ত করবেন যেসব উপায়ে
প্রকাশ: ০১:১৯, ২০ আগস্ট ২০২৫

সাধারণত রিভিউতে পণ্যের ভালো-খারাপ দুই দিকই থাকে। রিভিউ যদি অতিরিক্ত ইতিবাচক হয় বা কড়া নেতিবাচক হয় তবে সেটি সন্দেহ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন তারকা রিভিউ অনেক সময় সবচেয়ে উপকারী, কারণ এতে তুলনামূলক ভারসাম্য থাকে।
ব্যক্তিগত গল্প
ভুয়া রিভিউতে প্রায়ই নাটকীয়তা থাকে। আবেগের মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পণ্যের ব্যাপারে তেমন তথ্য থাকে না।
অতি সঠিক বা অতি ভুল ব্যাকরণ
যদি রিভিউ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লেখা হয়, তবে তা এআই দিয়েও তৈরি হতে পারে। আবার খুব খারাপভাবে লেখা রিভিউ সাধারণত ভুয়া হয়। দু্টোই প্রকৃত রিভিউর চেয়ে অনেক কম নির্ভরযোগ্য।
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থাকে না
কোনো রিভিউতে যদি শুধু ডেলিভারি সমস্যা বা সাধারণ প্রশংসা থাকে, তবে সেটি ভুয়া হতে পারে। আসল রিভিউতে সাধারণত পণ্যের বিস্তারিত তথ্য ও ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা থাকে।
প্রমাণ ছাড়া রিভিউ
অ্যামাজনের মতো প্লাটফর্মে ‘ভেরিফায়েড পারচেজ’ ট্যাগ থাকে। তবে এটিও সবসময় নির্ভরযোগ্য নয়, কারণ অনেক বিক্রেতা নিয়ম ভেঙে রিভিউয়ারকে টাকা ফেরত দেয়। এতে রিভিউ আসল কিনা বোঝা কঠিন হয়ে যায়।
ফ্রি কিংবা ছাড়ের পণ্য
যদি কেউ বলেন পণ্যটি বিনামূল্যে পেয়েছেন, তবে রিভিউ পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। যেমন, অ্যামাজনের ভাইন প্রোগ্রামে এ ধরনের রিভিউ থাকে। তবে এর বাইরে সাধারণত ইতিবাচক বা মিশ্র রিভিউই বেশি।
ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রিত রিভিউ
অনেক কোম্পানির ওয়েবসাইট খারাপ রিভিউ সরিয়ে ফেলে। যদি রিভিউ ক্লিক করা না যায় বা সবই ৪.৫-৫ স্টার হয়, তখন সতর্ক হতে হবে।
অতি হাস্যরস
হাস্যরসাত্মক রিভিউ পণ্য সম্পর্কিত তথ্য দেয় কম। তবে হাসাতে পারে ভালো।
একই ধরনের রিভিউ বারবার
একই ধরনের লাইন, হঠাৎ অনেক রিভিউ বা সব পাঁচ তারকা দেয়া অ্যাকাউন্ট দেখলে সতর্ক হোন। এগুলো এআই-জেনারেটেড বা পেইড রিভিউ হতে পারে।