রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

| ২৪ কার্তিক ১৪৩২

গ্রামীণফোন

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কাগজের কলম’ জিতেছে জিএসএমএ অ্যাওয়ার্ড

টেকস্ক্রল নেটওয়ার্ক

প্রকাশ: ১৩:৪০, ৯ নভেম্বর ২০২৫

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কাগজের কলম’ জিতেছে জিএসএমএ অ্যাওয়ার্ড

পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা নাসিমা আখতারের সাথে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান, ছবি- ইমপ্যাক্ট পিআর

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কাগজের কলম’র জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে দেশের শীর্ষ টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে  জিএসএমএ ডিজিটাল নেশন সামিট ২০২৫ আসিয়ান সংস্করণেএ ‘এক্সিলেন্স ইন সাসটেইনেবিলিটি ভিডিও অ্যাওয়ার্ড’ জিতে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।

গ্রামীণফোনের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন কর্পোরেট পোর্টফোলিও, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং কমিউনিকেশনের প্রধান শারমিন রহমান। আসিয়ান অঞ্চলের মনোনীত ১৭টি কনটেন্ট থেকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে জিএসএমএ বিচারক প্যানেল গ্রামীণফোনকে বিজয়ী ঘোষণা করে। জিএসএমএ ডিজিটাল নেশন অ্যাওয়ার্ডস এমন সব প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানায়, যারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এশিয়া জুড়ে অন্তর্ভুক্তি, টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং সংযোগের শক্তি কীভাবে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে তা তুলে ধরছে।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে যশোরের পরিবেশবান্ধব উদ্যোক্তা নাসিমা আখতারের অনুপ্রেরণামূলক গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তিনি একটি সাধারণ ধারণাকে টেকসই উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্যোগে রূপ দিয়েছেন। তার উদ্ভাবন ‘শুভ পরিবেশবান্ধব কলম’ ব্যবহারের পর মাটিতে রোপণ করলে গাছে পরিণত হয়। এই উদ্যোগ একদিকে স্থানীয় নারীদের জন্য জীবিকার সুযোগ তৈরি করেছে, অন্যদিকে  পরিবেশবান্ধব জীবনধারায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। গ্রামীণফোন নাসিমার এই অনুপ্রেরণামূলক গল্পটি উপস্থাপন করেছে এই বার্তা দিতে যে, উদ্দেশ্যনির্ভর উদ্ভাবনই হতে পারে সামাজিক অগ্রগতি ও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের চালিকাশক্তি।  

এই অর্জন উদযাপনে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামানের নেতৃত্বে একটি দল যশোরে নাসিমার বাড়ি ও কারখানায় গিয়ে তার আনন্দ ভাগ করে নেয় এবং কমিউনিটি উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি জানায়।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান বলেন, প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব যখন মানুষ তার ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, শক্তিশালী ধারণা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তিদের হাত ধরেই অর্থবহ পরিবর্তনের শুরু হয়। নাসিমা আখতারের যাত্রা আমাদের সেই উদ্ভাবন ও ক্ষমতায়নের চেতনার প্রতিফলন, যা আমরা গভীরভাবে লালন করি। তার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যখন সুযোগ ও সাহস একত্রিত হয় তখন তা অগ্রগতির এমন ঢেউ সৃষ্টি করে যা অনেককে স্বপ্ন দেখতে, পদক্ষেপ নিতে ও টেকসই পরিবর্তন আনতে অনুপ্রাণিত করে।

দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবন, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ও মানবকেন্দ্রিক অগ্রগতিতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি সেই অঙ্গীকারকে আরও সংহত করলো।  

পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি দেখতে ক্লিক করুন: লিংক

 

সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এ সম্পর্কিত খবর
আরও পড়ুন