১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ অবৈধ হ্যান্ডসেট
নতুন সেট কেনার আগে করণীয়, পুরনো সেট নিবন্ধন ও হস্তান্তরের উপায়
টেকস্ক্রল নেটওয়ার্ক
প্রকাশ: ১৭:২৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
 
							ফোনসেট নিবন্ধনের সাথে এনআইডি, সিম কার্ডের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হবে: বিটিআরসি
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার-এনইআইআর, চালুর সাথে সাথেই আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করা হবে অবৈধ হ্যান্ডসেট। নতুন সেট কেনার আগে গ্রাহকের করণীয় এবং পুরনো সেট নিবন্ধন ও হস্তান্তরের উপায় জানিয়েছে বিটিআরসি।
নতুন হ্যান্ডসেট কেনার আগে যা করতে হবে
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে হ্যান্ডেসেট কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানি বা তাদের ডিলারের বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন শপিং সাইট ও ই-কমার্সসহ যে কোনও মাধ্যমের বৈধতা যাচাই করে নিতে হবে। ফোন কেনার রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কেনা ফোন বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাই প্রক্রিয়া
বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে জানা যাবে—
ধাপ-১: হ্যান্ডসেট থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে পাঠিয়ে দিন।
ধাপ-৩: ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
তবে neir.btrc.gov.bd পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও উল্লিখিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
নিবন্ধিত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট বিক্রি বা হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ‘ডি-রেজিস্ট্রেশন’ করে তা করা যাবে। ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষের ৪ ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট নিচের মাধ্যমগুলোর সাহায্যে ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে—
(ক) সিটিজেন পোর্টাল (neir.btrc.gov.bd)
(খ) এমএনও পোর্টাল
(গ) মোবাইল অ্যাপস
(ঘ) ইউএসএসডি চ্যানেল (*১৬১৬১#)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত
(ক) ডি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিম অবশ্যই নিজ এনআইডিতে নিবন্ধিত হতে হবে।
(খ) ক্লোন বা ডুপ্লিকেট আইএমইআই–সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
সূত্র: বিটিআরসি

 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
															 
					 
					 
					